Dr. Neem on Daraz
Victory Day

সার সংকটে নানিয়ারচরের আনারস চাষীরা 


আগামী নিউজ | নাজমুল হোসেন রনি, রাঙ্গামাটি সদর প্রতিনিধি  প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২১, ০৪:২৮ পিএম
সার সংকটে নানিয়ারচরের আনারস চাষীরা 

ছবি: আগামী নিউজ

রাঙামাটিঃ জেলার নানিয়ারচর উপজেলায় চাহিদার তুলনায় সার পাচ্ছে না আনারস চাষিরা  । উপজেলা ও জেলার বাইরের বিভিন্ন বাজার থেকে চড়া দামে সার কিনতেও ভোগান্তিতে পড়ছেন প্রান্তিক চাষিরা।

শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর)  সকালে উপজেলার বুড়িঘাট ও ঘিলাছড়ি এলাকায় সরেজমিন ঘুরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বছরে কয়েক মেট্রিকটন সারের চাহিদার তুলনায় স্থানীয় বাজারে চাষিরা সার পাচ্ছে খুবই কম। 

স্থানীয় চাষি মোঃ জিয়াউল হক জানান, নানিয়ারচর, বুড়িঘাট, ঘিলাছড়ি ও বেতছড়ি বাজারে সারের পর্যাপ্ততা না থাকায় মহালছড়ি, রানীরহাট ও চট্টগ্রামসহ বাইরের বিভিন্ন বাজার থেকে চড়া দামে চাষিরা ক্রয় করতে হচ্ছে সার। 

স্থানীয় আনারস চাষি নুর মোহাম্মদ জানান, এলাকার চাষিদের যে পরিমান সার প্রয়োজন ডিলারের মাধ্যমে আমরা তা পাচ্ছিনা। এতে করে সময়মত সার দিতে না পারায় চাষিরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে সরকারী নির্ধারিত মূল্যে সার পেলে আমরা উপকৃত হবো। 

ইসলামপুর এলাকার চাষি মোঃ বাবুল বলেন, স্থানীয় ডিলারের কাছে আমরা পর্যাপ্ত সার পাইনা। মাঝে মধ্যে যতটুকু পাওয়া যায় তার দাম অনেক বেশি। ৭০০টাকার সার ৯০০টাকা থেকে ১হাজার টাকায় কিনতে হয়। 

৩নং বুড়িঘাট ও নানিয়ারচর সদর ইউনিয়ন (অতিরিক্ত দায়ীত্ব) বিসিআইসি পরিবেশক মেসার্স স্বপন এন্টারপ্রাইজ এর সত্ত্বাধিকারী স্বপন দেবনাথ জানান, চলতি বছর (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত দুই ইউনিয়নের জন্য মোট ২০৭ মেট্রিকটন সার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বর্ষা পরবর্তি মৌসুমে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সারের সঙ্কট তৈরী হয়েছে।

বছরের মে মাস থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থানীয় চাষিদের প্রতি মাসে ১০০মেট্রিকটন সারের বাড়তি চাহিদা রয়েছে বলেও স্বপন দেবনাথ।   

বাড়তি দামে সার বিক্রি স্থানীয়দের এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্থানীয়দের চাহিদা অনুযায়ী সার দিতে না পেরে আমি কৃষি বিভাগের অবগতি সাপেক্ষে কাউখালী, রাঙামাটি ও চট্টগ্রামের অন্য ডিলার থেকে এনে সার বিক্রি করি। সেক্ষেত্রে খরচ অনুযায়ী (ভাড়া) বাড়তি দাম নিতে হয়। তিনি আরো জানান, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাবো আমাকে নির্ধারিত বরাদ্দ বাড়িয়ে দিলে স্থানীয় চাহিদা পুরনে সক্ষম হবো।

এ বিষয়ে নানিয়ারচর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা টিপু সুলতান জানান, বর্ষা পরবর্তি মৌসুমে চাষিরা আনারস বাগানে সার প্রয়োগ করে থাকে। তাই একটা বাড়তি চাহিদা সৃষ্টি হয়। আমরা জেলা পর্যায়ে যোগাযোগ করছি। সারের বরাদ্দ বাড়িয়ে চাষিদের সারের সঙ্কট মেটাতে চেষ্টা করছি।

আগামী নিউজ এর সংবাদ সবার আগে পেতে Follow Or Like করুন আগামী নিউজ এর ফেইসবুক পেজ এ , আগামী নিউজ এর টুইটার এবং সাবস্ক্রাইব করুন আগামী নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে